About Us

ফরিদপুর জেলার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম বিদ্যাপিঠ ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজ ৫ মার্চ, ২০০২ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত আশির দশকে এ অঞ্চলে এতিম, অনাথ ও ছিন্নমূল শিশুদের পূণর্বাসন ও কর্মমূখী শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল হাসান এবং অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুস সামাদের নেতৃত্বে স্থানীয় জনগণ ফরিদপুর মুসলিম মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। সাবেক এলজিইডি-র চীফ ইঞ্জিনিয়ার ফরিদপুর মুসলিম মিশনের উন্নয়নের অন্যতম পথিকৃত বর্তমান সম্মানিত সভাপতি জনাব মো: শহীদুল হাসানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ফরিদপুর মুসলিম মিশনের শ্রদ্ধাভাজন সম্পাদক, প্রাণপুরুষ, সমাজসেবায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একটি উন্নতমানের আদর্শ কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য মিশন কর্তৃপক্ষ মিশন চত্বরে ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অনুমতি প্রাপ্তির পর ২০০২ সালে ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা, ইসলামী শিক্ষা শাখাসহ কারিগরি বোর্ডের অধীন কম্পিউটার অপারেশন ও সেক্রেটারিয়াল সায়েন্স চালু হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুস সামাদ, রেকটর অধ্যাপক মো: আব্দুর রউফ খান, ১০ (দশ) জন তরুণ ও উদ্যোমী প্রভাষক এবং ৮ (আট) জন কর্মচারী নিয়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। ২০০২ সালে মাত্র ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এ কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৮০ জন। প্রথম ব্যাচ হিসেবে ২০০৪ সালে এইচ.এস.সি বোর্ড পরীক্ষায় পাসের হার ৯২% যা ছিল ফরিদপুরের মধ্যে পাসের হারে শীর্ষস্থান। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০০৬ সালে ৯৮.৪৪%, ২০০৮ সালে ৯৬.৮৮%, ২০১১ সালে ৯৪.৫২%, ২০১২ সালে ৯৫.৩৭% পাস করে যা এ অঞ্চলের কলেজগুলোর মধ্যে পাসের হারের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালে এ কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী সোহেল রানা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন সকল কলেজের মধ্যে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করে এবং দিপঙ্কর মন্ডল সকল বিষয়ে জিপিএ-5 সহ মেধা তালিকায় স্থান লাভ করে। ২০১২ সালে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার অনুমোদন এ কলেজকে পূর্ণতা দান করে।

বর্তমানে ৩টি ভবনে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ২০০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রাবাস এবং ১০০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস রয়েছে। আবাসিক শিক্ষকদের নিবিড় মনিটরিং-এ শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। কলেজে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার পর হতে রাত ১১-০০ টা পর্যন্ত গ্রুপ স্ট্যাডি এবং প্রয়োজন অনুসারে হল রুমে কমিউনিটি স্ট্যাডির ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে এ কলেজে ৩২ (বত্রিশ) জন শিক্ষক ও ১৫(পনেরো) জন কর্মচারী নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছারওয়ারজান মিয়া। ১৯/০২/২০০৩ খ্রি: থেকে ১১/০৬/২০১৪ খ্রি: পর্যন্ত জেলা প্রশাসকগণ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বিশিষ্ট সমাজসেবক এলজিইডি এর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল হাসান তার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সভাপতির পদ অলংকৃত করছেন। তিনি কলেজ ভবন,শিক্ষার্থীদের জন্য  ভবন এবং হাইওয়ে থেকে কলেজ ভবন পর্যন্ত সকলের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা নির্মানে সহযোগিতা করেছেন।  এ কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন ০৫/০৩/২০০২ খ্রি. থেকে ০২/০৭/২০০৮ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুস সামাদ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন ০২/০৭/২০০৮ থেকে ০৫/১২/২০১৬ খ্রি: পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এর পর ০৫/০১/২০১৬ থেকে ২২/০৭/২০১৭ খ্রি: পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জনাব মোহা: মশিয়ার রহমান। বর্তমানে অধ্যক্ষ হিসেবে জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন নিয়োজিত আছেন। কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ে যে শিক্ষকরা কঠোর পরিশ্রম করেএ প্রতিষ্ঠানকে একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন (অর্থনীতি), জনাব মো: মনিরুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক (ইসলাম শিক্ষা), জনাব মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান সহকারী অধ্যাপক (আইসিটি), জনাব মোহাম্মদ ফখরউদ্দিন মোবারক সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি), জনাব মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন সহকারী অধ্যাপক (হিসাববিজ্ঞান), জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন আলী খান সহকারী অধ্যাপক (বাংলা), জনাব মো: শাহাদাৎ হোসেন সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা), জনাব মোহা: মশিয়ার রহমান সহকারী অধ্যাপক (সেক্রেটারিয়াল সায়েন্স), জনাব মো: শহীদুল ইসলাম প্রভাষক (আরবী), জনাব সৈয়দ আশরাফ হোসেন মুন প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি)।

ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজ দক্ষিণবঙ্গের একটি ব্যতিক্রমধর্মী আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষাক্রমের সাথে দেশপ্রেম ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয় করে শিক্ষাদান করাই এ প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য। শৃঙ্খলা, আদর্শ এবং নিয়মানুবর্তিতার সুষ্ঠু অনুশীলন ও অনুশাসনের মাধ্যমে একজন আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলাই হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। শিক্ষার্থীদের নিবিড় পরিচর্যা, পারিবারিক ও মনোরম পরিবেশে নৈতিকতার আদর্শ লালন পূর্বক সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে এ কলেজের পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষকমন্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অভিভাবকবৃন্দ, এলাকাবাসী অঙ্গীকারাবদ্ধ।